১২.৪৫ এ পঞ্চগড় এক্সপ্রেস যাত্রাশুরু করল, গন্তব্য উত্তরের পঞ্চগড়। ট্রেনের ঝিকমিক শব্দ চারদিকে আলোড়ন তুলতে লাগল। ট্রেন যখন এয়ারপোর্ট স্টেশন ক্রোস করে গেল, আরো কিছু পেসেন্জার কামড়ায় উঠল।
খানিক হ্মন বাদে হাই ছেড়ে, বয়রা আসল খাবারের ট্রে নিয়ে
রকমারি খাবারের পসরা সাজিয়েছিল তারা। আমরা কেউ কিছু নিলাম না। ট্রেন যখন গাজীপুর ছাড়িয়ে তিমির আধার কেটে এগিয়ে যাচ্ছিল, আমি জানালা দিয়ে ঐ দূরপানে জোনাকি পোকাকে দেখছিলাম। যেন তার মিটিমিটি আলেতে একদম চারদিকে বিয়ে বাড়ির রকমারি আলোর মত ঝকঝকে হয়ে গিয়েছিল। আর শীতল বাতাস আসতে ছিল, আমি কানে ইয়ারফোন গুজে কখন যে নিদ্রা গিয়েছিলাম টের পাইনি।ঘুম ভাংল একদম সাজসকালে, চোখ মেলে বাহিরে তাকিয়ে দেখি কেবল এসেছে রংপুর! তখন ভোর ৭ টা বেজেছে। তারপর এক কাপ লেবু চা খেয়ে একটু আয়েস করে বসলাম। লোকমুখে বলাবলি করছে ট্রেন লেট করেছে।হে ট্রেন কোথায় যেন জ্যামে পরেছিল।তারপর ট্রেন একে স্টেশন ক্রোস করছে, ঐ দিকে পেটে ইঁদুর দৌড়চ্ছে। যাক অনেক ঝক্কি শেষে দুপুর ১২ টা নাগাদ পঞ্চগড় এসে পৌছলাম। ট্রেন থেকে দেখলাম একদম সুনসান চারদিক, নিড়ব। কেমন জনমানবহীন এলাকার মত। তারপর ট্রেন ষ্টেশনের বাহিরে রিক্সা খুঁজতে রইলাম, অঙ্জতা সেখানে রিক্সা নেই। আছে ছোট ছোট ভ্যান।তো আমরা ভ্যান উঠে মুল শহরে আসতে রইলাম।
আসলে ট্রেন ষ্টেশন মূল শহর থেকে অনেক দূরে। সেজন্য এমন গ্রামীণ পরিবেশ